৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ মঙ্গলবার | রাত ৩:৫৪ মিনিট ঋতু : গ্রীষ্মকাল | ২০শে মে, ২০২৪ ইং
এনগঞ্জ নিউজ এক্সপ্রেস:
সুরমা আক্তার। বয়স ২৫। কাজ করেন আমানা গ্রুপের প্রিন্টিং সেকশনে। মাস শেষে যা বেতন পান তা দিয়ে সংসারের ভরনপোষণ করতেই শেষ হয়ে যায়। বেতনের টাকা দিয়ে পরিবারের শখ পূরন করতে একটি টিভি কিংবা ফ্রিজ কিনবেন, সুরমার কাছে সেটা ছিল অলিক স্বপ্নের মতো। কিন্তু সেই স্বপ্নই তার আজ পূরন হয়েছে। যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন সুরমা, সেই আমানা গ্রুপ ২২ বছরে পা দিয়েছে এবার। আর ২২ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে শ্রমিকদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের খেলার আয়োজন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তারই অংশ হিসেবে ছিল র্যাফেল ড্র। গতকাল সেই র্যাফেলের ড্র হয়েছে। সেখানে প্রথম হন সুরমা। পেয়ে যান বিশাল এক ফ্রিজ। আনন্দে আত্বহারা হয়ে পরেন তিনি। খুশীতে চোখে চলে আসে জল। কখনো কল্পনাই করেননি একটি ফ্রিজ কিনতে পারবেন তিনি। আমানা গ্রুপ তার সেই স্বপ্ন পূরন করেছে। তাই তিনি প্রতিষ্ঠানটির সবাই জানিয়েছেন ধন্যবাদ। শুধু সুরমাই নন, অর্ধশত ভাগ্যবান শ্রমিককে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধায় ফতুল্লার মাসদাইরস্থ আমানা গ্রুপের র্যাফেল ড্র শেষে বিজয়ী শ্রমিকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর খন্দকার শাহীন ইব্রাহীম, বিশেষ অতিথি চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুল, ডিরেক্টর সাদ ইব্রাহীম, খন্দকার আফিয়াত ইসলাম, প্রতিষ্ঠানের জি এম নূর এ আলম জিকুছাড়াও উর্ধতন কর্মকর্তারা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ম্যানেজিং ডিরেক্টর বলেন, মানুষের শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রতঙ্গ যেমন গুরুত্বপূর্ন তেমনি সমাজের প্রত্যেকটি পেশাজীবি মানুষকে একেঅন্যের জন প্রয়োজন। ভালো শ্রমিক ছাড়া প্রতিষ্ঠান মুল্যহীন তেমনি শ্রমিকের নিরাপদ কর্মসংস্থানের জন্য ভালো প্রতিষ্ঠান। হিংসা ও অহংকার নারেখে নিজ নিজ কর্মস্থান থেকে একেঅপরকে সহযোগীতা করার অনুরোধ জানান তিনি।
বিশেষ অতিথি চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুল ইসলাম বলেন, চলতি বছর আমাদের প্রতিষ্ঠান ২২ বছরে পা দিয়েছে। হাটিহাটি পা পা করে আজ আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। আমাদের এ সফলতার পেছনের মূল নায়ক আমার শ্রমিক ভাই-বোনেরা। তাদের ছাড়া আমরা কিছুই চিন্তা করতে পারিনা। তাই ২২ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা শ্রমিকদের নিয়ে ফুটবল, হাড়ি ভাংগা, মিউজিক্যাল চেয়ারসহ বিভিন্ন খেলাধূলার আয়োজন করেছি। আগামি মাসে বিশাল এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শ্রমিকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবো এবং তাদের নিয়ে একবেলা এক সাথে খেতে চাই। শ্রমিকদের সাথে আমাদের যে সম্পর্ক সেটা আজীবন থাকবে।
র্যাফেল ড্র”তে দ্বিতীয় হয়েছেন মার্চেন্ডাইজার আশিকুর রহমান রানা ও তৃতীয় হয়েছেন আশরাফুল।