৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ মঙ্গলবার | রাত ২:৪৬ মিনিট ঋতু : গ্রীষ্মকাল | ২০শে মে, ২০২৪ ইং
মীম শরৎ ফ্লাওয়ার ফর্টিফাইড রাইস কার্নেল এন্ড মিক্সিং মিলস উদ্বোধনী অনূষ্ঠানে আলহাজ¦ মোহাম্মদ সোহাগ
মীম শরৎ গ্রুপের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ২ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে
ষ্টাফ রির্পোটার :
ডেমরায় মীম শরৎ গ্রæপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান মেসার্স মীম শরৎ ফ্লাওয়ার ফর্টিফাইড রাইস কার্নেল এন্ড মিক্সিং মিলস (ইউনিট-১) এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১লা ফেব্রæয়ারী) সকালে উদ্বোধন করেন মীম শরৎ গ্রæপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ¦ মোহাম্মদ সোহাগের মা হাজ¦ী রাহিমা বেগম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মীম শরৎ গ্রæপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ¦ মোহাম্মদ সোহাগ বলেন, ফেব্রæয়ারী মাস ভাষার মাস, মায়ের ভাষার মাস, এ ভাষার মাস ও আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসে মীম শরৎ গ্রæপের পাখায় আরেকটি নতুন পালক যোগ হলো, মেসার্স মীম শরৎ ফ্লাওয়ার ফর্টিফাইড রাইস কার্নেল এন্ড মিক্সিং মিলস (ইউনিট-১)। ভাষার মাসে আমি এ মিলের শুভ সুচনা করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। আমরা একি রকম ৩টা প্রজেক্ট হাতে নিয়েছি আজ ১লা ফেব্রæয়ারী ২০২৪ ইং ডেমরায় ইউনিট-১ চালু করলাম, আশা করি আল্লাহর রহমতে আগামী এপ্রিল মাসে গাজীপুরে ইউনিট-৩ চালু করবো এবং নরসিংদীতে আমাদের ২ নম্বর ইউনিট আগামী বছরের ফেব্রæয়ারীর চালু করতে পারবো ইনশাল্লাহ । আমরা প্রত্যেকটা কাজই একটা সক করে করি, প্রত্যেকটা ইভেষ্টমেন্টে রিটার্ন আশা করি, রিটার্ন ছাড়া আমরা কোন কাজ করিনা, সে রিটার্ন হতে পারে আর্থিক, হতে পারে মানুষের কর্মসংস্থান, হতে পারে দেশের আর্থ-সামাজিক রিটার্ন । আমাদের মীম শরৎ গ্রæপে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ২ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে আমরা যদি ধরি একেকটা পরিবারে চারজন করে তাহলে ৮ হাজার মানুয়ের অন্ন সংস্থান হয়েছে এটা আল্লাহ পাকের কাছে আমাদের অনেক বড় এটা পাওয়া। আমরা বিভিন্ন আর্ত-সামাজিক কাজ দান দক্ষিনা সামাজিক ডেভলাপমেন্টের কাজ করে থাকি। আল্লাহ পাক যদি আমাদের উপর দয়া করেন তাহলে আমাদের একটা রুপকর্ম আছে সেই রুপকর্মটা হচ্ছে মীম শরৎ গ্রæপের ভিশন-২০৩০। ভিশন ২০৩০ শে আমরা বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছি। আপনারা জানেন ইদানিং বাংলাদেশের মানুষের খাদ্যাভাস পরিবর্তন হয়েছে। এখন মানুষ চালের থেকে আটা বেশি খাচ্ছে কারন ডায়াবেটিক বেড়ে যাচ্ছে তাই আটা বেশি খাচ্ছেন। আমার ভবিষ্যত পরিকল্পনা হচ্ছে আমরা ডায়বেটিক আটা তৈরি করবো বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত যা কেউ করেনি, আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি আমরা বিভিন্ন ল্যাবের সাথে আলোচন্ াকরছি আপনারা জানেন আমরা রাইস কার্নেল মিল চালু করেছি এটা এমন একটা মিল যার মাধ্যমে পাঁচ রকমের ভিটামিনের এক প্রকার চাইল তৈরি হবে এ চাউলটা যদি আপনি এক কেজি চাউলের সাথে পাঁচটা এই ভিটামিন যুক্ত চাউল দেন তাহলে পুরো হাড়ির ভাত পুষ্টিগুনে সমৃদ্ধ হবে। এই পুষ্টির কারনে যারা দরিদ্র মাছ মাংস কিনে খেতে পারেনা তাদের পুষ্টি ঘাটতি পূরন করবে। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করে নিজের আখের গোছাতে, ব্যবসা বড় করার জন্য কিন্তু দেশের আর্ত সামাজিক উন্নয়নের জন্য সবাই ব্যবসা করেনা, আমরা চিন্তা করি ব্যবসা করে কিভাবে নিজে লাভবান হবো দেশের জনগন কিভাবে উপকৃত হবে এবং সরকারী জিডিপিতে অর্থনৈতিক উন্নয়নে কিভাবে আমরা সামিল হতে পারবো। আমার বাংলাদেশের মধ্যে ১০টা ফ্লাওয়ার মিল আছে এই মিল গুলি যদি আমরা সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারি তাহলে প্রতিদিন আমার মিলে ২ হাজার মেট্রিক টন গমের প্রয়োজন হবে। তাহলে মাসে আমাদের প্রয়োজন হবে ৫২ মেট্রিক টন গমের আর আমাদের এই চাহিদা পুরনের লক্ষে আমরা আগামীতে নিজেরাই গম আমদানী করবো ইনশাল্লাহ। আমাদের মীম শরৎ গ্রæপ চলতি বছর রুপগঞ্জে ২০ হাজার মেট্রিক টন ধারন ক্ষমতার সাইলো তৈরী করবো সেখান থেকে বিভিন্ন মিলে গম সাúøাই করবো। আমরা কিছু দিনের মধ্যেই মমতা আটা ময়দা বাজারজাত করবো মমতা আটা ময়দা বাংলাদেশের আনাচে কানাচে, বাংলাদেশের ৬৪৫টা উপজেলায় আমরা আমাদের মমতা আটা ময়দা পৌঁছে দিব ইনশাল্লাহ। আমাদের পরিকল্পনা আছে চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে রাইস ও ফ্লাওয়ার মিল করার।
তিনি আরো বলেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় এসেছেন বিগত সময়ের যত উন্নয়ন তার সুফল ২০২৪ সাল থেকে পেতে শুরু করেছে বাংলাদেশের মানুষ। মেট্রোরেলে মানুষ নির্বিঘেœ যাতায়াত করছে আগে মিরপুর যেতে হলে ঘন্টার পর ঘন্টা জ্যামে বসে থাকতে হতো এখন ২০ মিনিটে যেতে পারছে মানুষ। দক্ষিন অঞ্চলের মানুষ ১০ মিনিটে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন। আমি নারায়নগঞ্জের ব্যবসায়ী হিসেবে মাননীন প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে চাই চাষাড়া থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত মাত্র ৫ মিনিটে যাওয়া যায় এটা নারায়নগঞ্জবাসির জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিষেশ উপহার হিসেবে মনে করি। পরিষেশে আলহাজ¦ মোহাম্মদ সোহাগ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞা জানিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ী, সরকারী কর্মকর্তা, ব্যাংকের কর্মকর্তা, ফ্লাওয়ার মিল মালিক, বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও মীম শরৎ গ্রæপের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।