৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ মঙ্গলবার | রাত ১২:২৭ মিনিট ঋতু : গ্রীষ্মকাল | ২০শে মে, ২০২৪ ইং
সাংবাদিকরা আমার কাছ থেকে দান দক্ষিনা নেয় !
# সাইফ উল্লাহ বাদল আমার নাম ভাঙ্গায়ে চলে-গিয়াসউদ্দিন
এনগঞ্জনিউজএক্সপ্রেস :
কথায় আছে, “ময়লা যায় না ধুইলে আর খাসলত যায় না মইলে (মরলেও)” এমন প্রবাদের সত্যতা প্রমাণ করে চলেছে সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের অলিখিত গডফাদার গিয়াসউদ্দিন ওরফে ডাকাত গেসু।
পেটের দায়ে দেশ স্বাধীনতার পূর্বে ছিচকে চোর গেসু দলবল নিয়ে জাহাজে চুরি করতে গিয়ে ধরা পরলে সকলকে হত্যার পর মৃত ভেবে নদীতে ফেলে দেয়ার পর কচুরীপানা আকড়ে ধরে বেঁচে যাওয়া গিয়াস উদ্দিন ওরফে ডাকাত গেসু বর্তমানে কোটি কোটি টাকার মালিক । এরপরও থামছে না গেসুর নানান অপকর্ম। ভুমিদস্যুতা, চাঁদাবাজি, অবৈধভাবে পুরো এলাকায় গ্যাস, বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়াসহ শালিসের নামে অর্থ আদায় করা এখন চোর গেসুর নিত্তনৈমিতিক কর্মে পরিণত হয়েছে। অতিস্ট জনসাধারণ ক্ষোভে ফুসে উঠলেও রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপটে কেউ টু শব্দ করার সাহস করে না।
অসংখ্য অভিযোগ থেকে জানা যায়, সদর উপজেলার ফতুল্লার শিল্পাঞ্চলের কাশিপুর ভোলাইলের সকল অপকর্মের হোতা ছিচকে চোর গিয়াস উদ্দিন ওরফে ডাকাত গেসু গত কয়েক দশক থেকে ব্যাপক চাঁদাবাজি, ভুমি দখল, ভুমিদস্যুতা, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ এমন কোন অপকর্ম নাই যা গেসু এবং তার বাহিনী দ্বার সংগঠিত হচ্ছে না। বর্তমানে বৃদ্ধ অবস্থায় এখনো সকল ধরণের অপরাধ চালিয়ে পুরো এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীদের সকলকেই অতিস্ট করে তুলছে। কাশিপুর ভোলাইল, চর নংরসিংপুর, চর কাশিপুরসহ আশেপাশের বিশাল এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ, অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে নিজেই রাজত্ব কায়েম করে রেখেছে।
ডাকাত গেসু ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের ভয়ে অনেকেই নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আশেপশের সকল এলাকায় গিয়াস বাহিনীর ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস করে না। হাজারো অপকর্ম করলেও ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ সাইফ উল্লাহ বাদলের দোহাই দিয়ে এলাকাবাসীকে নানাভাবে হয়রানী করে আসতেছে। ডাকাত গেসু বাহিনী ছাড়াও ফতুল্লা থানা পুলিশ ও নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশের অসাধু কর্মকর্তাদের দিয়ে এলাকার প্রতিবাদীদের নানাভাবে হয়রানী করায় এলাকার সকলেই এখন বাকরুদ্ধ। বিশাল এই এলাকার যে কোন ব্যক্তি বা ব্যবসায়ী বাড়ী অথবা কলকারখানা করতে উদ্যোগী হলে প্রথমে ডাকাত গেসুকে বিশাল অংকের চাঁদা দিতে হবেই । নইলে কোন অবস্থাতেই ব্যবসা অথবা বাড়ী করতে পারবে না কেউ। সেই সাথে বাড়ী অথবা কল কারখানায় বিদ্যুৎ নিতে হলেও গেসু বাহিনীর অনুমতি নিয়েই সংযোগ নিতে হবে অবৈধভাবে আর প্রতিমাসে এই অবৈধ সংযোগের বিল গ্রহণও করে আসছে গেসু বাহিনীর সদস্যরাই। প্রতিমাসে চাঁদাবাজি, ভুমিদস্যুতা, অবৈধ সংযোগ ও শালিসী বৈঠক করে কম করে হলেও ২০/২৫ লাখ টাকা আদায় করার লক্ষ্যমাত্রা থাকে গিয়াস উদ্দিনের নিজেরই। প্রকাশ্যে এমন অপকর্ম করার ঘটনায় দম্ভাকারে ডাকাত গেসু এলাকাবাসীকে জানায়, “আমার প্রতি মাসে খরচ ৬/৭ লাখ টাকা, এভাবে টাকা না কামালে কি করে খরচ মিটাবো !” গত বছর কাশিপুর, ভোলাইল, চর নংরসিংপুর, চর কাশিপুরসহ আশেপাশের এলাকায় তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তাগণ নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ফতুল্লা থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত শাহজালালের উপস্থিতিতে হাজার হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে আবার একই কায়দায় ডাকাত গেসু ও তার গুণধর পুত্ররা মিলিত হয়ে প্রতিটি বাড়ীতে পুনরায় গ্যাস সংযোগ দিয়ে ৫০/৬০/৭০ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেয় । যা এখনো চলছেই অবৈধভাবে।
এ বিষয়ে গিয়াস উদ্দিনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি প্রতিবেদককে জানান, আমি কোন অপকর্ম করি না। আমি এলাকায় দান দক্ষিনা দিয়ে সকলের সাথে মিলে মিশে থাকি । আর সাইফ উল্লহা বাদলের নাম আমি ব্যবহার করি না উল্টো সাইফউল্লাহ বাদল আমার শেল্টারে/আমার নাম ভাঙ্গায়ে নানা অপকর্ম করে। বাদল কে জিজ্ঞেস করেন সে নাকি আমার নাম ভাঙ্গিয়ে চলে কি না । আমি কামাইছিলাম সব দান কইরা দিছি । ৫ বছর ধইরা সব ছাইরা দিছি আমি । আপনাদের কিছু চাওয়ার থাকলে আমারে কইয়েন। সাংবাদিকদের অনেকেই আমার কাছ থেকে দান দক্ষিনা নেয় ।