৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ মঙ্গলবার | রাত ২:১৭ মিনিট ঋতু : গ্রীষ্মকাল | ২০শে মে, ২০২৪ ইং
আল্লাহ ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না- আলহাজ্ব মোহাম্মদ সোহাগ
এনগঞ্জনিউজএক্সপ্রেস :
আপনারা জানেন, কারবালার প্রান্তরে বাহাত্তর হাজার সৌন্যের সামনে মাত্র বাহাত্তর জনের কাফেলা নিয়ে ইমাম হুসাইন (রাঃ) ইসলাম কে জিন্দা করার লক্ষে সামনের দিকে অগ্রসর হন। এই যে, ইয়াজিদের বাহাত্তর হাজার সৌন্য- এখানে ছিল না কোনো ইহুদি, ছিলো না খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ কিংবা অন্য কোনো ধর্মালম্বীদের অনুসারী। এখানে যারা ছিল সবাই মুসলমান এমনকি অনেক কোরআনে হাফেজও সেই বাহাত্তর হাজার সৌন্যের মধ্যে ছিলেন যারা আমার আপনার প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কলিজার টুকরা ইমাম হুসাইন রাঃ কে নির্মম ভাবে শাহাদাতের পেয়ালা পান করিয়েছেন। ইয়াজিদের লোভ ছিলো প্রাচুর্য, সম্পদ আর ক্ষমতার। সেই ক্ষমতার লোভেই কোনো ঘৃণিত কাজ করতেও দ্বিধাবোধ করেনি। আজ আমাদের বিশ্বে সেই ইয়াজিদের প্রেতাত্মারা মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য ফিলিস্তিনে ইসরাইলের হামলায় আমাদের কত মুসলমান ভাই বোনেরা নিহত হয়েছে। কত শিশু বাচ্চাদের নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করলো, ইসরাইলকে দমানোর ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও বড় বড় মুসলিম দেশগুলো নিরব হয়ে আছে, কেনো যানেন? সেই ইয়াজিদের মতো ক্ষমতা হারানোর ভয়ে তারা আজ ইসরাইলের সাথে হাত মিলিয়ে তাদের জন্য বড় বড় মুসলিম দেশগুলোতে অবাধে চলাচলের জন্য সার্টিফিকেটও দিয়ে দিচ্ছে। মনে রাখবেন আল্লাহ ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না।
ভাইয়েরা বাবারা রমজান মাস আমাদের অতি সন্নিকটে! এতদিন আমল ইবাদতে যেই ঘাটতি গুলো ছিল তা এখন থেকেই পূর্ন করে ফেলি। যেনো রমজান মাসে আমলে কোনো ত্রুটি না থাকে। সারাবছর আমল ইবাদতে যে ঘাটতি থাকে আল্লাহ পাক আমাদের রমজান মাস দান করেছেন তা পূরণ করার জন্য। আর তাই আল্লাহ পাক উম্মতে মোহাম্মদীর জন্য রমজান মাসে এক ওয়াক্ত নামাজের জন্য ৭০ ওয়াক্ত নামাজের সওয়াব দান করবেন। একটি ভালো কাজের নেকি হিসেবে সত্তরটি নেকি দান করবেন। রমজান মাসে আমাদের করনীয় হচ্ছে ৫ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সাথে আদায় করা, রোজা রাখা, যাদের উপর যাকাত ফরজ হয়েছে তাদের যাকাত আদায় করা, রমজান মাসে শেষ দশ দিনের বিজোর রাত্রিগুলোতে বেশি বেশি ইবাদতের মাধ্যমে সবে কদর অনুসন্ধান করা। এই রাত কে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাজার বছরের চেয়েও উত্তম বলে আখ্যয়িত করেছেন। তবে আমল ইবাদত যাই করুন না কেন সেটা যেন লোক দেখানো না হয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে এবং আহলে বায়াত তথা পাকপাঞ্জাতনের ভালোবাসা অন্তরে ধারনের মাধ্যমে হয়। নয়তো ইয়াজিদের বাহাত্তর হাজার সৌন্য মুসলমান হওয়ার পরও তাদের মতো আমল ইবাদত করেও বেইমান হয়ে মৃত্যুবরন করতে হবে।
আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে ইয়াজিদি মুসলমান না বানিয়ে হুসাইনী মুসলমান হিসেবে কবুল করুন, আমীন।
প্রতি সপ্তাহের ন্যায় গত (২৯ ফেব্রুয়ারী) বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব দারুল ইস্ক হোসাইনিয়া খানকা শরীফে বয়ান পেশ করার সময় এসব কথা বলেন, আলহাজ্ব মোহাম্মদ সোহাগ।