৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ মঙ্গলবার | রাত ১:১৯ মিনিট ঋতু : গ্রীষ্মকাল | ২০শে মে, ২০২৪ ইং
ডাকাত গেসুর নানা কেলেংকারী নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য
# অনেক রাজনৈতিক নেতা ও সন্ত্রাসীরা তার মধুকুঞ্জে বিনে পয়সার খদ্দের
এনগঞ্জনিউজএক্সপ্রেস :
বছরের পর বছর জুড়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে অথবা কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে কোন ব্যবসায়ী রাতারাতি বিশাল অর্থ বিত্তের মালিক না হলেও নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কাশিপুরের চিহ্নিত ব্যাংক ডাকাত গেসু ও তার পরিবারের সকলেই এখন কোটি পতি। ডাকাত গেসু ওরফে হাজী গিয়াসউদ্দিন রূপকথার আলাউদ্দিনের আশ্চর্য্য প্রদীপের মতো আলীশান একাধিক বাড়ী, গাড়ী, একাধিক স্ত্রী, অগণিত সন্তান নিয়ে পুরো কাশিপুর ইউনিয়নে একক আধিপত্য বিস্তার করে রাম রাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছে । আর সাধারণ মানুষ মুখ ফুটে এই ঘৃন্য অপরাধী পরিবারের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস করে না।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ¦ সাইফ উল্রাহ বাদলও নাকি ডাকাত গেসুর শেল্টারে এলাকায় রাজনীতি করে । দম্ভাকারে ডাকাত গেসু ওরফে হাজী গিয়াস উদ্দিন প্রতিবেদককে জানায়, ” সাইফ উল্লাহ বাদলকে জিজ্ঞেস করেন, সাইফ উল্লাহ বাদল আমার নাম ভাঙ্গায়ে এখনো চলে।”
উত্তরাধিকার সূত্রে ছিচরে চোর থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক গিয়াস উদ্দিন রাজনৈতিক দলের অনেক নেতাদের মদ, নারী, জুয়াসহ নানাভাবে মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা করে পুরো কাশিপুর ভোলাইল এলাকায় একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে সকল বাসিন্দাদের অতিস্ট করে তুলেছে নানাভাবে । জমি কিনতে অথবা বিক্রি করতে ডাকাত গেসুর অনুমতি ছাড়া কেউ টু শব্দটিও করতে পারে না কেউ। যে সরকার যখন ক্ষমতায় থাকে সেই সরকারের রাজনৈতিক দলের নেতাদের পাশাপাশি বিরোধী পক্ষের প্রভাবশালী নেতা ও সহযোগিদের অর্থনৈতিক সুবিধা দিয়ে অপকর্ম অব্যাহতভাবে রাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছে গিয়াস উদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যরা।
ক্ষমতা বদলের পর পালিয়ে থাকা এক নেতাকে বিদেশ ফেরৎ দেওভোগের এক নারীকে মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা করে নিজ বাড়িতেই ঠাঁই দেয় ডাকাত গেসু। নির্লজ্জভাবে ছেলে মেয়ে ও একাধিক স্ত্রীর সামনে নিজ বাড়ীতে নগ্ন আসরের ব্যবস্থা থাকায় অনেকেই এই মধুকুঞ্জের মেহমান হিসেবে দেখা যায় । রাজনৈতিক দলের নেতা, সন্ত্রাসী ও সন্ত্রাসীদের বড় ভাইকেও ম্যানেজ করে অপরাধ সামাজ্য চলমান রেখেছে ধূর্ত ডাকাত গেসু। রাজত্বের পাশাপাশি বিচারকের আসনে প্রতিনিয়তঃই দেখা যায় ডাকাত গেসুকে। আর বিচারের নামে অনৈতিক কেলেংকারীর ঘটনা এলাকার সকলেরই জানা।
অনেকেই বলেন, ”হাজী গিয়াস উদ্দিন হিসেবে কাশিপুর, ভোলাইল, চর নরসিংপুর এলাকায় খোজ করলে কেউ তাকে চিনতেই পারবে না । যদি কেউ ডাকাত গেসু বলে তবে এক নামেই তার বাড়িঘর ও আসরের সকল তথ্যই দিয়ে দিবে । এতেই প্রমাণিত ডাকাত গেসু নামের উপাধি পাল্টাতে অনেক চেস্টার পর হজ¦ব্রত পালন করলেও কেউ ডাকাত গেসু ছাড়া তাকে চিনতে পারে না।”
ডাকাত গেসু এতটাই ধূর্ত অপরাধী যে নিজের জন্মদাতা পিতা কোরবান আলীর মুখমন্ডলে লাথি দিয়ে কয়েকটি দাঁত ফেলে দিয়েছিলো। বোন নূর জাহানকে বাড়ী থেকে বের করে দেওয়ার পর সে আশ্রয় নেয় নিষিদ্ধ পল্লীতে। আর ভাগিনা আল আমিনকে অস্ত্র হিসেবে সন্ত্রাসী খাতায় নাম লিখিয়ে নানা গোপন অপরাধ চালিয়ে আসছে বলে চাউর রয়েছে এলাকায়। আর নিজের অগণিত সন্তানের মধ্যে মেম্বার শামীম, সুমন যোগ্য উত্তরাধিকার সুত্রে পাওয়া অপরাধ কার্যক্রম চালিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক ।
সকল অপরাধ ঢাকতে টাকার বিনিময়ে পুরস্কার কিনে কখনো সরকারী শীর্ষ আমলা, রাজণীতিবিদদের সাথে ছবি তুলে তা টাঙ্গিয়ে রেখে সাধারণ মানুষের মাঝে আতংকের সৃস্টি করে আসছে ধূর্ত ডাকাত গিয়াস। এমন কেলেংকারীর ঘটনা প্রকাশ পাওয়ায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃস্টি হয়েছে।
এমন হাজারো অভিযোগের রেকর্ড সংরক্ষনে রয়েছে প্রতিবেদকের হাতে ।