৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ মঙ্গলবার | রাত ৩:৩২ মিনিট ঋতু : গ্রীষ্মকাল | ২০শে মে, ২০২৪ ইং
রোজাদারদের পুরষ্কার হাশরের ময়দানে আল্লাহ পাক নিজ হাতে দান করবেন- আলহাজ্ব মোহাম্মদ সোহাগ
এনগঞ্জনিউজএক্সপ্রেস :
আমরা এখন রমজান মাসের একেবারে দ্বারপ্রান্তে, রমজান মাসে আমাদের যাদের উপর রোজা ফরজ হয়েছে তারা অবশ্যই রোজা রাখবো, কেননা আল্লাহ পাক বলেছেন রমজান মাসে রোজাদারদের পুরষ্কার আমি নিজ হাতে দান করবো। রমজান মাসে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে দান, সদকা ও যাকাত। যাদের উপর যাকাত ফরজ হয়েছে তাদের উদ্দেশ্য আমি বলবো প্রকৃতপক্ষে যারা যাকাতের হকদার তাদের কাছেই যেনো যাকাত পৌঁছায় সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত।
দারুল ইসক হোসাইনিয়া খানকা শরীফ এমন একজনের নামে নামকরণ করা হয়েছে, যিনি আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কলিজার টুকরা, মা খাতুনে জান্নাতের নয়নমনি ইমাম হুসাইন (রাঃ)। যিনি বাতিলের সাথে আপোষ না করে আল্লাহ প্রদত্ত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রেখে যাওয়া ইসলামকে দুনিয়ার বুকে পূনর্জীবিত করার লক্ষ্যে কারবালার প্রান্তরে নিজের গর্দান মোবারককে ইয়াজিদ বাহিনীর কাছে শহীদ করিয়েছেন।
ভারতের এক পন্ডিত বলেছিলেন আমরা হিন্দু সম্প্রদায় অত্যান্ত ভাগ্যবান এই কারনে যে, কারবালার প্রান্তরে আমাদের সম্প্রদায়ের কেউ ইমাম হুসাইন (রাঃ) কে হত্যা করেনি। সেই ভারতে শুয়ে আছেন খাজা মইনুদ্দিন চিশতী (রহঃ), আমরা অনেকেই খাজা বাবার আশেক বলে নিজেদের দাবী করি কিন্তু খাজাবাবা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামসহ আহলে বায়াতকে যেভাবে ভালোবেসেছেন আমরা কি পেরেছি তার আদর্শকে ধারণ করতে? খাজাবাবা বলেছেন “আমি তো কেবল তারই গোলাম, যে ইমাম হুসাইন (রাঃ) এর গোলাম” এই ইতিহাস গুলো আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে জানানো উচিত আর এজন্যই দারুল ইসক হোসাইনিয়া খানকা শরীফ, সুতরাং আমরা বলতেই পারি আমরা যারা দারুল ইসক হোসাইনিয়া খানকা শরীফে আসি তারা হকের পথেই আছি। যেই পথ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পথ, যেই পথ সিরাতল মুস্তাকিমের পথ। সেই পথে চললে নামাজ, রোজা, হজ্ব কিংবা যাকাত যাই বলুন না কেন সকল ইবাদতই আপনি তৃপ্তি সহকারে আদায় করতে পারবেন। সেই পথে চললে আপনি যদি ইসলামকে ছেড়ে কোনো খারাপ কাজ করতে যান আল্লাহ পাক কিন্তু আপনাকে ছাড়বে না সেইখান থেকে কুদরতিভাবে আবার আপনাকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনবেন।
ভাইয়েরা বাবারা রমজান মাস হচ্ছে ত্যাগের মাস, ভোগের মাস নয়। কিন্তু আমরা অনেকেই সারাদিন রোজা রেখে ইফতারের সময় যেই পরিমান খাবার খাই, খেতে খেতে দেখা যায় মাগরিবের নামাজও বেমালুম ছেড়ে দেই। এমনকি খাওয়ার অস্থিরতার কারণে এশার নামাজ ও তারাবীহ নামাজ ও আদায় করতে পারি না। রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন ঐ ব্যাক্তি ধ্বংস হোক যে রমজান মাস পেয়েও নিজের গুনাহ মাফ করাতে পারলো না।
আল্লাহ পাক যেনো আসন্য রমজান মাসে আমাদের জীবনের সকল গুনাহ মাফ করানোর মতো আমল ইবাদত ও তওবা করতে পারি সেই তৌফিক দান করুন, আমীন।
প্রতি সপ্তাহের ন্যায় গতকাল (৭ মার্চ) বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব দারুল ইস্ক হোসাইনিয়া খানকা শরীফে বয়ান পেশ করার সময় এসব কথা বলেন, আলহাজ্ব মোহাম্মদ সোহাগ।