৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ মঙ্গলবার | রাত ২:১৭ মিনিট ঋতু : গ্রীষ্মকাল | ২০শে মে, ২০২৪ ইং
চুরি-ডাকাতি আর পতিতা ব্যবসায়ী গেসু বর্তমানে দন্ডমূন্ডের কর্তা!
# পিতা পুত্র ও তাদের সন্ত্রাসীদের কাছে জিম্মি কাশিপুর ভোলাইলবাসী
এনগঞ্জনিউজএক্সপ্রেস :
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের এক আতংকের নাম হাজী গিয়াসউদিন ওরফে ডাকাত গেসু আর কত অপরাধ করলে আইনশৃংখলা বাহিনীর টনক নড়বে ? আর কত চাঁদাবাজির ঘটনা, ভুমিদস্যুতার শিকার হলে প্রশাসন অপরাধী এই চক্রের হোতা গিয়াস ও তার মেম্বার পুত্র শামীমসহ পুরো বাহিনীকে আইনের আওতায় আনতে পারবে ? এমন অসংখ্য প্রশ্ন জিম্মি হয়ে পরা সাধারণ মানুষের মুখে উচ্চারিত হলেও রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপটে মুখ খুলতে সাহস পায় না কেউ। সকল সরকারের শাসনামলে রাজনৈতিক দলের নেতাদের ব্যবহার করে কেটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ডাকাত গিয়াস ও তার বাহিনী । এ যেন মগের মুল্লুকে পরিণত করা হয়েছে।
পেটের ক্ষুধার যস্ত্রণা সইতে না পেরে ডাকাত গিয়াসের বাবা কোরবান আলী নিজেই যেমন চুরি করতো ঠিক তেমনি বাবার পেশা গ্রহণ নানাভাবে প্রথমে চুরি পরে ব্যাংক ডাকাতির সাথে থেকে নানা অপকর্ম চালিয়ে আসছিলো । আর গিয়াসের বোন নূর জাহান পেটের দ্বায়ে নারায়ণগঞ্জে টানবাজার পতিতা পল্লীতে আশ্রয় নেয়। সেই গিয়াস ও তার পরিবার এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। নানা অপকর্ম করে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুললেও এই পবিত্র রমজানেও চাঁদাবাজি, অন্যের জমি দখল, মাদক ব্যবসার রমরমা কারবার, গ্যাস ও বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বিরামহীন ভাবে ।
আতংকের জনপথ কাশিপুর ভোলাইল ও আশেপাশের এলাকার দন্ডমূর্তের কর্তা ডাকাত গিয়াস, তার পুত্র মেম্বার শামীম এবং বিশাল অস্ত্রধারী বাহিনীর ভয়ে কেউ নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নারায়ণগঞ্জে ভুমি কার্যালয়, থানা পুলিশ, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, তিতাস গ্যাস, বিদ্যুৎ বিভাগ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্যান্য সকল সংস্থার কে না জানে কাশিপুর ভোলাইল, চর নরসিংপুরসহ আশেপাশের এলাকায় ডাকাত গেসু, তার ছেলেরা এবং সহযোগি সন্ত্রাসীরা কতটা অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে । এই রমজান মাসে কোটি টাকার লক্ষমাত্রা নিয়ে অন্যের সম্পত্তি দখল, অবৈধভাবে সংযোগ দেয়া গ্যাস ও বিদ্যুতের বিল নিজেদের হাতে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ড্রেজার ব্যবসার নামে সম্পূর্ণ অনৈতিকভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে অনেকের লাখ লাখ টাকা । নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশ ও ফতুল্লা থানা পুলিশের কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলে নানাভাবে পিতা পুত্রের মনোরঞ্জনের আয়েজন করে আইনশৃংখলা বাহিনীকে ম্যানেজ করেই চালিয়ে যাচ্ছে এমন অপকর্ম ।
পিতা পুত্রের ভয়ংকর আচরণের কারণে কয়েকজন ব্যবসায়ী, সরকারী চাকুরীজীবী বাড়ী করতে গিয়ে জমি ফেলে এলাকা ছেড়ে চলে আসার ঘটনা অনেক । সম্প্রতি শামীম অন্যের জমি দখল করে রাস্তা নির্মান করতে গিয়ে অবৈধ অস্ত্রের মহড়া দিয়ে আতংকের সৃস্টি করে এলাকাবাসীর মাঝে।
আন্তঃজেলা ব্যাংক ডাকাত দলের মূল হোতা গিয়াসউদ্দিন বৃদ্ধ বয়সেও মাদক ব্যবসা, সেবন, নিজ বাড়ীতে নানাভাবে মনোরঞ্জনের আসর বসানোর ঘটনা ছাড়াও নারী দিয়ে নানা অনৈতিক কর্মকান্ডে ফুসে উঠেছে পুরো এলাকাবাসী । প্রায় ৩০/৪০ বছর যাবৎ এমন অপকর্ম করে বিএনপি সরকারের শাসনামলে শীর্ষ নেতা চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের মদ, নারী, জুয়ার আসর বসিয়ে অপরাধের সা¤্রাজ্য অব্যাহত রেখেছে। ১৯৯৬-২০০১ সালের আওয়ামীলীগ সরকারের শাসনামলে জেলা ও শহর আওয়ামীলীগের অনেক নেতাকে নিয়মিত মদ, নারী ও নগদ অর্থ দিয়ে আবার কখনো নিজ বাড়ীতে আবার কখনো ভাড়া বাড়িতে মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা করে । আবার ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতা গ্রহণ করলে বিএনপির অনেক নেতাকে একই কায়দায় রক্ষনাবেক্ষন করতো। আর আওয়ামীলীগের পলাতক নেতাদের শহর ও শহরের আশেপাশে বাসা ভাড়া করে ডাকাত গেসু নিজেই নারীসহ সকল থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে অপরাধের পথ পরিস্কার করে রাখতো। এমন হাজারো অপকর্ম করে বিশাল সম্পদের পাহাড় গড়ে তুললেও অপকর্ম বন্ধ না করে এলাকাবাসীকে অতিস্ট করে তুলেছে নানাভাবে।
এমন হাজারো অপরাধ সম্পর্কে গিয়াস উদ্দিনের মুঠোফোনে প্রতিবেদককে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে নানাভাবে মন্তব্য করেন। আর তার পুত্র শামীম মেম্বারের সাথে মুঠোফোনে দুই দফা ফোন এবং পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য চেয়ে ম্যাসেজ দিলে প্রথমে কোন সাড়া না দিলেও পরবর্তীতে শামীম সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন সব অভিযোগ মিথ্যা । এক পর্যায়ে তার সাথে সাক্ষাত করার কথাও জানায়।