৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ মঙ্গলবার | রাত ৩:০৫ মিনিট ঋতু : গ্রীষ্মকাল | ২০শে মে, ২০২৪ ইং
ছোট্ট জুবায়ের বাবার হাত ধরে আর মসজিদে যাবে না
এনগঞ্জনিউজএক্সপ্রেস :
‘জুবায়ের প্রতিদিন বাবা জুলহাস মিয়ার সঙ্গে নামাজ পড়তে যেত। শুক্রবারও গিয়েছিল। মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণে তার বাবার অবস্থাও ভালো না। আমি এখন কি করমু।’ কথাগুলো বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন জুবায়েরের মা রহিমা বেগম।
নারায়ণগঞ্জের তল্লায় মসজিদ বিস্ফোরণের ঘটনায় শিশু জুবায়ের (৭) শুক্রবার রাতেই মারা যায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি আছেন জুবায়েরের বাবাসহ ২৫ জন মুসল্লি।
জুবায়েরের মা গার্মেন্টসকর্মী রহিমা বেগম বলেন, জীবিকার তাগিদে আমি এবং জুবায়েরের বাবা বরিশাল থেকে নারায়ণগঞ্জে আসি। তল্লা এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে দুজন পৃথক দুটি গার্মেন্টসে চাকরি নিই। জুবায়েরকে রেখে আসি বরিশালের গন্ডাদুলা গ্রামে শাশুড়ির কাছে।
তিনি বলেন, কয়েক মাস আগে শাশুড়ি ফোন করে জানান, জুবায়ের স্কুলে যেতে চায়, লেখাপড়া করতে চায়। আমি জুবায়েরের বাবাকে বল্লাম ছেলে তো বড় হয়েছে, স্কুলে যেতে চায়। ওরে লইয়া আসো।
এরপর কোরবানির ঈদের পর জুবায়েরকে নিয়ে আসি আমাদের কাছে। বাড়ির কাছে সবুজবাগ মডেল কিন্ডার গার্টেন স্কুলে ভর্তিও করি। মাস্টাররা বললো, করোনা গেলে ছেলেকে স্কুলে দিয়া যাইয়েন। এখনতো জুবায়ের আর কোনদিন স্কুলে যাবে না।
শুক্রবার রাতে এশার নামাজ শেষে মোনাজাতের মুহ‚র্তে হঠাৎ করেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। গ্যাস চেম্বার তৈরি হওয়া মসজিদের ভেতরের ৬টি এয়ার কন্ডিশন (এসি) একযোগে বিস্ফোরণ ঘটে।